কলকাতা: সম্প্রতি হাড়হিম করা ঘটনা দেখা গিয়েছে চিংড়িঘাটায়। মাঝরাস্তায় খুন হয়ে গিয়েছেন শান্তিনগরের এক যুবক। গলায় কাঁচি দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ ওঠে আর এক যুবকের। সূত্রের খবর, বিসর্জনে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রথম শুরু হয়েছিল বচসা। তা নিয়ে ঝামালে ক্রমেই বাড়়তে থাকে। এরইমধ্যে ঘটে যায় এ ঘটনা। মৃত যুবকের নাম সাহেব আলি। তাঁকে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকার আর এক বাসিন্দা বিট্টু সর্দারের বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযুক্তকে আবার এদিনই চিংড়িঘাটা মোড়ে ঘিরে ধরে একদল উত্তেজিত জনতা। বেধড়ক মারধরও করা হয়। বাঁশ, ইট দিয়ে চলে মারধর। সূত্রের খবর, সেই সময় এলাকায় ছিল পুলিশ। পুলিশের সামনেই চলে মারধর। কিন্তু, পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ না থাকায় উত্তেজিত জনতাকে বাগে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
বর্তমানে বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বিট্টুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। শান্তিনগরের ঘটনার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি বিট্টুর। কিন্তু, এদিন সকালে চিংড়িহাটা মোড়ের কাছে তাঁকে হাঁটতে দেখেন একদল যুবক। তাঁরাই খবর দেন স্থানীয়দের। শান্তিনগর থেকে চিংড়িহাটার দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। খবর পাওয়া মাত্রই বিট্টুকে ধরতে ছুটে আসেন এলাকার একদল বাসিন্দা। বাগে পেয়েই বেধড়ক মারধর করা হয় বিট্টুকে।
এদিকে যে ট্যাক্সিতে করে বিট্টুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ সেই গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চলানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে তপ্ত ছিল শান্তিনগরও। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বিধাননগরের সিপি গৌরব শর্মা। কিন্তু, তারপরেও কমেনি উত্তেজনা। এরইমধ্যে চিংড়িহাটায় অভিযুক্তের দেখা মিলতেই ঘি পড়ে আগুনে।