কলকাতা: বিধাননগরের বাসিন্দা পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য নিজের নিজের কফি এক্সপোর্টের ব্যবসার জন্য কফি বোর্ড অফ ইন্ডিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করেন।এনইএফটির মাধ্যমে কফি বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে তিনি পেমেন্ট করেন কিন্তু কফি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার কাছে পেমেন্ট সাকসেসফুল হওয়ার কোন রিসিভ কপি আসেনি। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার মেসেজ এসেছে শুধু। তার পরেই ঘটে গিয়েছে প্রতারণা, অভিযোগ তেমনই৷
কোনও রকম উত্তর না পেয়ে তিনি গুগলে সার্চ করেন কফি বোর্ডের সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ করা যায়। গুগল থেকে তিনি একটি ওয়েবসাইটে ঢোকেন এবং সেখানে একটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া থাকে। তুই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতেই তাকে জানানো হয় যে তাঁর পেমেন্টের কোনও স্ট্যাটাস চোখে পড়ছে না কফি বোর্ডের অধিকারীদের। সেই ফোনে তাঁকে বলা হয় যে, তাঁর স্ক্রিনটা শেয়ার করতে এবং সেই স্ক্রিন শেয়ার করার পরেই নিমিষে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কেটে যায়। প্রথম টাকা কাটে ৫: ৫৩ নাগাদ এবং দ্বিতীয়বার পাঁচটা ৫:৫৬ নাগাদ. ১৭,৯৯৯ টাকা কেটে যায় প্রথমে এবং পরেরবার কাটে ১৫, ২৯৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার সকালে পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য যখন ফোন খোলেন তখন তিনি দেখতে পান যে তার ফোনে অটোমেটিক্যালি দু’টি অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল হয়ে গিয়েছে, ক্লোনিং অ্যাপ্লিকেশন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয় যে ফোন ব্যবহার তিনি যেন না করেন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা জানো তিনি তাঁর ফোনে বন্ধ রাখেন৷ বৃহস্পতিবার সকালে যখন তিনি তাঁর ফোন চালু করেন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেন তখন আবারও দুটি অ্যাটেন্ড করা হয় প্রতারকদের পক্ষ থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে । স্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আটটি অ্যাটেম্পট করা হয়েছে কিন্তু যার মধ্যে দু’টি সাকসেসফুল এবং ছ’টি আনসাক্সেসফুল।