10 May, 2024
10 May, 2024

মহুয়ার আগে: অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত, বহিষ্কৃতরা কেমন আছেন?

তখন মনমোহন সিং সরকারের প্রথম মেয়াদের এক বছর। অর্থ নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসার অভিযোগে কেঁপে উঠেছিল সংসদ। তেমনই অভিযোগের এবার মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই সময় কোবরাপোস্ট ওয়েবসাইট একটি স্টিং অপারেশন চালিয়েছিল। অভিযোগ করেছিল, কিছু সাংসদ অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করতে, প্রচার চালাতে রাজি হয়েছিলেন। কংগ্রেসের পবনকুমার বনসলের নেতৃত্বে একটি সংসদীয় কমিটির তদন্তের পর বিজেপির ছয় জন, বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) তিন জন এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) আর কংগ্রেস (রাম সেবক) থেকে একজন করে মোট ১১ সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এই পর্বটি সেই সব সংসদ সদস্যদের বেশিরভাগেরই রাজনৈতিক কেরিয়ারকে লাইনচ্যুত করেছিল, যাঁরা পরবর্তীকালেও অভিযোগ থেকে মুক্তি পাননি। কেউ কেউ আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দল পালটেছেন। সংগঠনে থেকেছেন। কিন্তু, জনগণের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত জনাদুয়েক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনাও করছেন বলে জানা গেছে।

By Channel 24 Now

যশবন্ত গিরিধর মহাজন
মহাজন ২০১৮ সালে ৭৭ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের জলগাঁও নির্বাচনী এলাকা থেকে বিজেপির দুই মেয়াদের সাংসদ ছিলেন। তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারের পর তিনি বিজেপিতে থাকলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

সুরেশ চান্দেল
চান্দেলের বয়স এখন ৬৩। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর থেকে লোকসভায় তিনবার বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। চান্দেল ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। সংসদ থেকে বহিষ্কারের পরেও তিনি দলের জন্য কাজ চালিয়ে যান এবং 2012 সালে হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিলাসপুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৭ সালে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসে চলে যান। গত বছর হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, তিনি বিজেপিতে ফিরলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি।

প্রদীপ গান্ধী
তিনি ২০০৩ সালে ডোঙ্গারগাঁও থেকে ছত্তিশগড় বিধানসভায় প্রথম প্রবেশ করেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রমন সিংয়ের জন্য তাঁর আসনটি খালি করতে হয়। বিনিময়ে, প্রদীপ গান্ধীকে রমন সিং তাঁর রাজনন্দগাঁও নির্বাচনী আসন দিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রদীপ গান্ধী ২০০৪ সালে জিতেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কেলেঙ্কারির পরে, তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর প্রদীপ গান্ধী ২০১০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দলের রাজ্য কমিটিতে তাঁকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে ছত্তিশগড়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। প্রদীপ গান্ধী বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

প্রদীপ গান্ধী
তিনি ২০০৩ সালে ডোঙ্গারগাঁও থেকে ছত্তিশগড় বিধানসভায় প্রথম প্রবেশ করেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রমন সিংয়ের জন্য তাঁর আসনটি খালি করতে হয়। বিনিময়ে, প্রদীপ গান্ধীকে রমন সিং তাঁর রাজনন্দগাঁও নির্বাচনী আসন দিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রদীপ গান্ধী ২০০৪ সালে জিতেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কেলেঙ্কারির পরে, তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর প্রদীপ গান্ধী ২০১০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দলের রাজ্য কমিটিতে তাঁকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে ছত্তিশগড়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। প্রদীপ গান্ধী বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

চন্দ্রপ্রতাপ সিং
৬৬ বছর বয়সি চন্দ্রপ্রতাপ সিং ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে মধ্যপ্রদেশের সিধি থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর চন্দ্রপ্রতাপ সিং প্রতিবেশী ছত্তিশগড়ের সরগুজায় চলে যান। তিনি অবশ্য তারপর থেকে কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ছত্তিশগড়ের বিজেপি সূত্রে খবর, বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রদেশের শাহদোলে থাকেন।

Must Read

Start typing to see posts you are looking for.