ওয়াশিংটন: মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার স্বার্থেই ওপেনএআই সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যানকে ছাঁটাই করেছিল সংস্থার পরিচালন পর্ষদ? সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অল্টম্যানকে। কর্মীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে অবশ্য চার দিন পরই তাঁকে সিইও-র পদ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ওপেনএআই-এর বোর্ড সদস্যরা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁকে ছাঁটাইয়ের আগে একটি শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কারের বিষয়ে সতর্ক করে বোর্ড সদস্যদের একটি চিঠি দিয়েছিলেন সংস্থার বেশ কয়েকজন গবেষক। তারা বলেছিলেন, এই নতুন ও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুরো মানব সভ্যতাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
ওপেনএআই-এর দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগেই বোর্ডের কাছে অল্টম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি দীর্ঘ তালিকা জমা পড়েছিল। তবে, এই চিঠিটিই সম্ভবত অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার বিষয়ে প্ররোচিত করেছিল বোর্ড সদস্যদের। নয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি ব্যবহারের কী পরিণতি হতে পারে, তা বোঝার আগেই এর বাণিজ্যিকীকরণ করতে চেয়েছিলেন অল্টম্যান। এই বিষয়ে উদ্বেগ থেকেই বোর্ড তাঁকে বরখাস্ত করেছিল। সূত্রের খবর, কিউ স্টার নামে একটি নয়া প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ওপেনএআই। এটি একটি ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স’। এই স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থা, অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান বেশিরভাগ কাজগুলিতে মানুষকে পিছনে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ওপেনএআই-এর সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্য়েই বিশাল কম্পিউটিং ক্ষমতা সম্পন্ন এই নতুন এআই মডেলটি বেশ কিছু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে ফেলেছে। চ্যাটজিপিটির মতো সাধারণ এআই মডেলগুলি কোনও নিবন্ধ লেখা, ভাষান্তর করা, সাধারণ জ্ঞানের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কাজগুলি ভালভাবে করতে পারলেও, অঙ্ক কষার ক্ষেত্রে তাদের উপর ভরসা করা যায় না। সাধারণ এআই মডেলগুলির আসলে যে কোনও সমস্যার একাধিক জবাব থাকে। অঙ্কের ক্ষেত্রে তা হওয়া সম্ভব নয়। কোনও গাণিতিক সমস্যার একটিই মাত্র উত্তর হয়। তাই গবেষকরা অঙ্ক কষাকেই জেনারেটিভ এআই বিকাশের শেষ সীমা বলে মনে করেন।