10 May, 2024
10 May, 2024

Crime News: কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে এমন মেসেজ আসলে সাবধান! হাওড়ায় যা কাণ্ড হল

Crime News: ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার কয়েকশো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বই ও ডেবিট কার্ড, মিলছে একটি ডাইরি যাতে লেখা রয়েছে পাস ওয়ার্ড

By Channel 24 Now

হাওড়া: পুজোর আগেই বড়োসড়ো সাফল্য হাওড়া জেলা পুলিশ (গ্রামীণ) এর। এবার কোভিড সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যাক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। ধৃতেরা হল প্রতাপ হালদার, পিন্টু মন্ডল, পরমেশ মন্ডল এবং আসিফ মন্ডল।

ধৃতেরা প্রত্যকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিস ৪১৭, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করেছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সূত্রে খবর ধৃতদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ছাড়াও প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, ল্যাপটপ, ডাইরি এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটের শংকরহাটির বাসিন্দা জনৈক বাচ্চু শেঠের মোবাইলে একটি অজানা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। মেসেজে এক ব্যাক্তি নিজেকে সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বাচ্চু শেঠকে জানায় তার মোবাইলে আসা মেসেজটি একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফরোয়ার্ড করে দিলে তিনি পোস্টে তার কোভিড সার্টিফেকেট পেয়ে যাবেন।

জানা গিয়েছে, বাচ্চু শেঠ প্রতারকদের সেই ফাঁদে পা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাচ্চু বাবুর মোবাইলে প্রথমবার ৪ লক্ষ এবং দ্বিতীয়বার ৫৯ হাজার টাকা তোলার মেসেজ ঢোকে। এরপরেই বাচ্চু শেঠ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই হাওড়া জেলা পুলিসের সাইবার ক্রাইম এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিকরা তদন্তে নেমে‌ প্রথমে মূল অভিযুক্ত প্রতাপ হালদারকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিন্টু মন্ডল, পরমেশ মন্ডল এবং আসিফ মন্ডলকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ থেকে নগদ টাকা সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন,
মাধ্যমিক সিলেবাস বদল? পাঠ্যসূচি বদলাবে প্রাথমিকেও? রাজ্যের সিদ্ধান্তে বড় ইঙ্গিত

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার কয়েকশো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বই ও ডেবিট কার্ড, মিলছে একটি ডাইরি যাতে লেখা রয়েছে পাস ওয়ার্ড। ব্যাঙ্ক একাউন্ট গুলিও বিভিন্ন মানুষের। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানিয়েছেন টাকার লোভ দেখিয়ে ও লোন পাইয়ে  দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই টাকা ট্রান্সফার করতো প্রতারকরা। হাওড়া জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিএনটি, এমডি নাসিম এর দাবি এর পিছনে রয়েছে বড়োসড়ো গ্যাং। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকিদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে

Must Read

Start typing to see posts you are looking for.