বিহারের জাতিসুমারিতে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের মোট ১৩.১ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ইবিসি অন্তর্ভুক্ত ৩৬ শতাংশ মানুষ, ২৭.১ শতাংশ ওবিসি-র অন্তর্ভুক্ত। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামগ্রিক সংরক্ষণ বর্তমান ৫০% থেকে ৬৫%-শতাংশ করার প্রস্তাব আনেন। ওবিসি এবং ইবিসি ক্যাটেগরির জন্য এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। যাইহোক, জাত শুমারির ফলাফল একটি অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
২রা অক্টোবরে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে রাজ্যের ১৩.০৭ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার মাত্র ১.৫ % অথবা ২০.৪৯ লাখ সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত। অধিকন্তু, সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যার ক্ষেত্রে বর্ণের মধ্যে স্পষ্ট বৈষম্য রয়েছে। রাজ্যের জনসংখ্যার ১৫.৫% সাধারণ বিভাগে বা জেনারেল ক্যাটাগরিতে। সরকারি চাকরির ৩১.২৯% এই বিভাগের আওতায় সরকারি চাকরিতে কর্মরত। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) মধ্যে মাত্র ১.৭৫ % সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত যদিও তারা রাজ্যের জনসংখ্যার ২৭.১২ %।
তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) ক্ষেত্রে, রাজ্যের জনসংখ্যার যথাক্রমে ১৯.৬৫ % এবং ১.৬৮ % -এর মধ্যে শুধুমাত্র ১.১৩ % এবং ১.৩৭ % সরকারি চাকরিতে কর্মরত। অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর (EBC) আওতায় মাত্র ০.৯৮ % সরকারি চাকরিতে কর্মরত। যদিও তারা রাজ্যের জনসংখ্যার ৩৬.০১ % ।
তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) ক্ষেত্রে, রাজ্যের জনসংখ্যার যথাক্রমে ১৯.৬৫ % এবং ১.৬৮ % -এর মধ্যে শুধুমাত্র ১.১৩ % এবং ১.৩৭ % সরকারি চাকরিতে কর্মরত। অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর (EBC) আওতায় মাত্র ০.৯৮ % সরকারি চাকরিতে কর্মরত। যদিও তারা রাজ্যের জনসংখ্যার ৩৬.০১ % ।
মুখ্যমন্ত্রী ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সরকার মাত্র ১.২২ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছে এবং আরও ১.২২ লক্ষ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকে দ্রুত এগোচ্ছি” ।