কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানতে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ইডি আদালত। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব কি না জোকা ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড তা দেখবে। কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল বোর্ড গঠন সংক্রান্ত আদালতের যে নির্দেশ, সেখানে বিশেষ ইডি আদালত এসএসকেএম হাসপাতাল ও এক চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে।
ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকুর বর্তমান শারীরিক অবস্থার পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হোক। তারাই দেখুক কালীঘাটের কাকু কণ্ঠস্বরের পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে।
শনিবার আদালত তাঁর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। এসএসকেএম হাসপাতাল ও সেখানকার এমএসভিপির ভূমিকা ‘সন্দেহজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। কেন? অর্ডার কপিতে উল্লেখ রয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর এসএসকেএমে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার প্রস্তুতি এক প্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কালীঘাটের কাকু থেকে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা সকলেই এতে রাজি ছিলেন। অর্ডারে উল্লেখ রয়েছে, আচমকাই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে এমএসভিপি পীযূষকুমার রায় সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেন। তার জেরে আর কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যায়নি। এসএসকেএম হাসপাতালের এই ভূমিকা বিস্ময়কর এবং সন্দেহের বাইরে নয় বলে বিচারক মন্তব্য করেন।
যদিও এমএসভিপি পীযূষকুমার রায় বলেন, “রোগীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলার আমি কেউ নই। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে আমি আপত্তি জানানোর কে? কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নির্দেশের প্রতিলিপি হাতে পাইনি। তা হাতে পাওয়ার পর যথাস্থানে আমাদের বক্তব্য জানাব।”