কার্তিকে অনেকেই বাড়িতে করেন দীপান্বিতা লক্ষ্মীর আরাধনা। সেই সঙ্গে কালীপুজো তো হয়েই থাকে। এরপর আছে কার্তিক পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদের আলাদাই একটা মাহাত্ম্য থাকে। প্রসাদের মধ্যে থাকে বিভিন্ন রকম নাড়ু, মুড়কি, খই, বাতাসা, নকুলদানা, মোয়া। এছাড়াও মিষ্টি, লুচি ভোগ, খিচুড়ি-পোলাও ভোগ এসবও থাকে। বছর ভর বাতাসা খেতে কেউ মোটেই চায় না তবে এই একটা দিন মুড়কি, বাতাসা, ফল, মিষ্টি এসব খেতে খুবই ভাল লাগে। তবে মা-ঠাকুমারা পরামর্শ দেন পেট ঠিক না থাকলে বাতাসা-মুড়ি খাওয়ার। কথায় বলে, গরমকালে কাউকে যদি জল-বাতাসা দেওয়া যায় তাহলে পুণ্যলাভ করা যায়। এই বাতাসার একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও রয়েছে। দীপাবলির পর একটু করে বাতাসা খেলে অনেক রকম রোগ সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। এমন পরামর্শই দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলেও বাতাসা খান। লাল বা চিনির বাতাসা যে কোনও একটা খেতে পারেন। যদিও এই সাদা বাতাসা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। বাতাসা আর শুকনো মুড়ি সঙ্গে রাখুন। খিদে পেলে তাই খান।
যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও খেতে পারেন বাতাসা। এতে কিডনির উপর বিশেষ চাপ পড়ে না। তবে এর সঙ্গে খই-মুড়কিও খাবেন। শুধু বাতাসা খাওয়া ঠিক নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশমেও খুব ভাল কাজ করে বাতাসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে একটা বাতাসা ফেলে খান। ভাল ফল পাবেন।