বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ব জনসংখ্যার ৫০ কোটি মানুষ, যাঁদের বয়স ১৫-৪৯ তাঁরা যৌনরোগে আক্রান্ত। সচেতনতার অভাবে যৌগরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে। হু-র মতে, বিশ্বজুড়ে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন যৌনরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই যৌনরোগে আক্রান্ত রোগীরা উপসর্গহীন থাকে। মূলত যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হলেই যৌগরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু যৌনতা লিপ্ত না হয়েও আপনি সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন।
অসুরক্ষিত যৌন মিলন সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তবে, যৌন মিলনে লিপ্ত না হয়েও আপনি যৌনরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যেমন ধরুন কোনও যৌনরোগে সংক্রমিত মহিলা গর্ভবতী হন, সেখান থেকে ভ্রুণের শরীরেও ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিংবা কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির শরীর ব্যবহৃত ছুঁচ যদি কোনও সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাতেও সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তবে, যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালে কিংবা তার ব্যবহৃত পোশাক ব্যবহার করলে এই ধরনের রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। এমনকি যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত টয়লেট সিট আপনি যদি ব্যবহার করেন, তাতেও রোগ জীবাণু ছড়াবে না।
হারপিস, সিফিলিসের মতো কিছু যৌনরোগের ক্ষেত্রে রোগ জীবাণু ত্বকের সংস্পর্শেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভ্যাজাইনাল সেক্স ছাড়াও ওরাল সেক্স ও অ্যানাল সেক্সের মাধ্যমে যৌনরোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই চুম্বনেও রয়েছে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। পাশাপাশি যদি রোগীর ব্যবহৃত লিপবাম, রোগীর খাওয়া জল বা জলের বোতল ব্যবহার করেন, আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন যৌনরোগে। সুতরাং, যৌন মিলনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি এসব বিষয়েও আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।