10 May, 2024
10 May, 2024

Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন গ্রেফতার করতে, আমরাও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য: সুকান্ত

Sukanta Majumdar: প্রসঙ্গত, একশোদিনের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে আবাস এর টাকাও আটকে। এই সমস্যাকে সুযোগ হিসাবে অনেক আগে থেকেই কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল। মোদী সরকারকে ‘গরীব বিরোধী’ প্রমাণে মরিয়া ঘাসফুল শিবির।

By Channel 24 Now

কলকাতা: তৃণমূলের প্রচারে বেকায়দায় বিজেপি (BJP)। একশো দিনের কাজে বকেয়ার চাপ যে ক্রমেই বাড়ছে তা ভালই টের পাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এবার বকেয়া ইস্যুতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্ত্র ভোঁতা করতে আসরে বিজেপি। প্রকৃত প্রাপকদের মজুরি আসুক দ্রুত, এমনটাই চাইছে বিজেপি। তাই বিধায়কদের জনতার দুয়ারে যাওয়ার নির্দেশ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে তা  সাধারণ মানুষকে বোঝানোর নির্দেশও দিয়েছেন সুকান্ত। এর সঙ্গে পারিশ্রমিক পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, একশোদিনের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে আবাস এর টাকাও আটকে। এই সমস্যাকে সুযোগ হিসাবে অনেক আগে থেকেই কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল। মোদী সরকারকে ‘গরীব বিরোধী’ প্রমাণে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, পরিষদীয় বৈঠকে সুকান্তর কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন দলের বিধায়কেরা।

সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই বিধায়কদের সমস্য়া থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল বাতলানেন সুকান্ত। তৃণমূলের ‘দুর্নীতির’ জেরেই ভুক্তভোগী মেহনতি জনতা, এই কথাই ভুক্তভোগীদের দরজায় গিয়ে বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির উপর মহল থেকে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে একশোদিনের বকেয়া নিয়ে লাগাতার সুর চড়িয়েছে মমতা ব্রিগেড। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপিকে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুর চড়িয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এরকম প্রচার করে। কিন্তু, সাধারণ মানুষ জানে ওদের চুরির জন্যই তাঁদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। এই বঞ্চনার সংখ্যা খুব কম। সিংহভাগ চুরিটা করেছে তৃণমূল নেতারা। ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড বেরিয়েছে। প্রথমে তো মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলুন। এই ভুয়ো জব কার্ডে তো টাকা উঠেছে। সেটা তো আমার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈর্তৃক সম্পত্তি নয়। এটা তো জনগণের ট্যাক্সের টাকা।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “এই টাকা এত বছর ধরে ভুয়ো জব কার্ডে তোলা হল। সেটা কার কাছে গেল? এটা তো চুরি। এটা অপরাধ না অপরাধ নয়? অপরাধ হলে তো এফআইআর হওয়া উচিত। গ্রেফতার হওয়া উচিত। গ্রেফতার করতে বলুন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।”

যদিও এরপরেও খানিকটা আশ্বাসবাণী শোনা যায় সুকান্তর গলায়। প্রান্তিক মানুষদের পাশে যে পদ্ম শিবির আছে তাও বারবার বলেন। তবে একইসঙ্গে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে খোঁচা দিয়ে বলেন, “গরিব মানুষেরা টাকা যাতে পায় তার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব। তার দায়িত্ব বিজেপির। এটা আমি বলছি। কিন্তু, কারা গরিব মানুষ সেটা বোঝা দরকার। যে তৃণমূল নেতারা বাড়িতে ২০০-৫০০ জব কার্ড তুলে রাখে, প্রতিমাসে জব কার্ড থেকে টাকা তুলতো তাঁদের তো টাকা পাওয়া উচিত নয়। সেই নাম গুলো গরীব মানুষের হতে পারে। কিন্তু, টাকাটা যায় তৃণমূল নেতাদের পকেটে। গ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা এটা বলবেন।”

Must Read

Start typing to see posts you are looking for.