নয়া দিল্লি: বছর ২৮-এর দুষ্যন্ত শর্মার সঙ্গে টিন্ডার অ্যাপেই আলাপ প্রিয়া শেঠের। অ্যাপেই কথাবার্তা শুরু। মাস তিনেকের মধ্যেই বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তাঁরা। একে অপরের আরও কাছে যেতে চান। তারপর একদিন প্রিয়া তাঁর ভাড়ার ফ্ল্যাটে ডাকেন দুষ্যন্তকে। ডাক এড়াতে পারেননি দুষ্যন্ত। ফ্ল্যাটে যাবেন বলে ঠিক করেন। চলেও যান। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে যাওয়াই যে কাল হবে, তা টের পাননি দুষ্যন্ত। কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ। ধারাল অস্ত্রে কুপিয়ে কুপিয়ে দুষ্যন্তের দেহ পুরে ফেলা হয় স্যুটকেসে। ২০১৮ সালের ঘটনা। সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পুরো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়া।
ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে দুষ্যন্তকে আটকে টাকার দাবি করতে থাকেন প্রিয়া ও তাঁর সঙ্গী। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারেন, দুষ্যন্ত আসলে কোনও ব্যবসায়ী নন। শুধু তাই নয়, দুষ্যন্ত ছিলেন বিবাহিত। কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে বারবার তাঁর ওপর চাপ দেন প্রিয়া। পরে খুনের কথা স্বীকার করে প্রিয়া জানিয়েছেন, তাঁর ও তাঁর সঙ্গীর ২১ লক্ষ টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল। সেটা মেটানোর জন্যই এভাবে লোক খুঁজছিলেন তাঁরা।