কলকাতা: জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) বলছে, যে সমস্ত গ্রহ রয়েছে তার মধ্যে শনির গতি সবচেয়ে ধীর। সাধরণত, এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যেতে শনির সময় লাগে প্রায় আড়াই বছর। অন্যদিকে, আমরা যদি শনির মহাদশার কথা বলি, তা ১৯ বছর ধরে চলে।বিভিন্ন কারণে শনি বাধা সৃষ্টি করে ও ঝামেলা বাড়ায় যে জন্য ব্যক্তির জীবন বিরক্তকর হয়ে ওঠে। মনে রাখা দরকার, শনি সবসময় খারাপ ফল দেয় না। যদি শনি কুণ্ডলীতে শুভ অবস্থানে বসে থাকেন এবং ব্যক্তি নিয়ম ও অনুশাসন মেনে চলেন, সক্রিয়ভাবে মঙ্গলের কাজে অংশগ্রহণ করেন, তবে শনি তাঁকে কখনও বিরক্ত করেন না।এবার পাঁচ রাশির ওপর শনির বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। কর্কট ও বৃশ্চিক রাশির জাতকরা শনির আড়াইয়ে ত্রস্ত। অন্য দিকে ধনু, মকর ও মীন রাশির জাতকদের জীবন সাড়েসাতির প্রভাবে জর্জরিত। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উল্লেখ্যযোগ্য দিন হল শনিবার।এই নক্ষত্রের অধিপতি স্বয়ং শনি। এর পাশাপাশি এ দিন শিব যোগ থাকবে। শনি শিবকে নিজের গুরু মনে করেন। এই যোগ শিবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আবার শনি নিজের মূল ত্রিকোণ রাশিতে উপস্থিত এবং এ দিন থেকে শনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শনিবার একাদশী হওয়ায় বিষ্ণু পুজোর উত্তম সংযোগ তৈরি হয়েছে। শনি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের উপাসক। তাই এ দিন বিষ্ণুর পুজো করেও শনির প্রকোপ কম করা যায়।শনিকে প্রসন্ন করতে এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা উচিত-আরও পড়ুন, সমুদ্রে ঘাপটি মেরে বীভৎস এক প্রাণী! জলে পা দিতেই ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা