মুখ্যমন্ত্রী নিনারাই বিজয়ন আরও বলেন, “বিজেপির রাজনীতিটা এমনই যে ওরা ইজরায়েরেল হয়ে কথা বলতে গর্ব অনুভব করে। তবে এটা দেশের অবস্থান হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্র এই আংশিক অবস্থান গ্রহণ করেছে কারণ, জিওনিস্টরাই একমাত্র লোক যাদের আরএসএস মেনে নিতে পারে।” রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্তাইনের জনগণের উপর হামলা বন্ধের দাবি না জানানোয় কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজয়ন। তাঁর কথায়, “বিজেপি সরকার যুদ্ধবিরতির দাবিতে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকে বিশ্বের সামনে দেশকে অপমান করেছে।”
কোঝিকোডের ওই সমাবেশে বাম নেতারা ছাড়াও, আইইউএমএল সমর্থক সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে নাম না করে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কিছু দল যারা সারা দেশে প্রভাব দাবি করে তাঁরা অনুপস্থিত… তাঁদের গলায় কোনও ঐক্যের কথা নেই। আমরা ইতিমধ্যেই এটা দেখেছি। এটা কিন্তু কোনও সংশয়ের কারণে নয়, বরং এই ইস্যুতে দলটির স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার অভাব রয়েছে।”
আরও পড়ুন- ২০২৫-এই অদৃশ্য শনির বলয়? মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত? জানুন নেপথ্যে কী কারণ
আরও পড়ুন- ২০২৫-এই অদৃশ্য শনির বলয়? মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত? জানুন নেপথ্যে কী কারণ
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “দীর্ঘ সময় ধরে ভারত শুধুমাত্র প্যালেস্তাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সেই অবস্থান পরে আর রক্ষা করা যায়নি। ভারত নরসিমা রাও-এর সময় থেকে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছিল। ভারত তখন মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছিল। তারপরে যা শুরু হয়েছিল সেটাকেই বিজেপি একটি শক্তিশালী রূপ দিয়েছে।”