প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং রাজস্থান বিজেপির সভাপতি সিপি জোশী এই হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর, উদয়পুরে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, কানহাইয়া লালের হত্যাকে মোদী একটি ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি ঘটেছে, কারণ রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ছিল। যা ছিল, ‘সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ এর আগে পর্যন্ত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এই ইস্যুতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সভার একদিন পরে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা জয়রাম রমেশ, ১০ নভেম্বর উদয়পুরে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। আর, কানহাইয়া লালের হত্যার জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
গেহলট বলেন, ‘কানহাইয়া লাল কা খুন করওয়ানে ওয়ালে কউন লগে তারা? বিজেপি কে লগ তারা (কানহাইয়া লালকে যারা খুন করেছিল তারা কারা ছিল? তারা বিজেপির লোক ছিল), ইসমে কেয়া রাজ হ্যায় (এই মামলায় অনেক রহস্য আছে)!’ কানহাইয়া লালকে হত্যার, ‘চার-পাঁচ দিন’ আগে অভিযুক্তকে একটি পৃথক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর, বিজেপি সদস্যরাই তার জামিন করিয়েছিল। একথা উল্লেখ করে গেহলট জানান, তিনি নিশ্চিত নন, মোদীকে এই ব্যাপারে- ‘সঠিক তথ্য জানানো হয়েছিল কি না!’
আরও পড়ুন- বিপাকে কেজরিওয়াল! মোদীকে নিয়ে আপের পোস্ট ‘অপমানজনক’, আহ্বায়ককে নোটিস কমিশনের
আরও পড়ুন- বিপাকে কেজরিওয়াল! মোদীকে নিয়ে আপের পোস্ট ‘অপমানজনক’, আহ্বায়ককে নোটিস কমিশনের
গেহলট বলেন, ‘রাজস্থান পুলিশ চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে ধরেছিল। তারপরে এনআইএ সেই রাতেই মামলাটি গ্রহণ করে। আমরা এতে আপত্তি করিনি। কারণ, এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে। এখন এনআইএর উচিত মামলার অগ্রগতির কথা প্রকাশ করা।’ গেহলট জানান, রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ জড়িত থাকলে, এতক্ষণে সঠিক কী ঘটেছিল, তা জানা যেত। আর, মামলার নিষ্পত্তিও হয়ে যেত।