অমিত সরকার, কলকাতা: ঠিক যেন আরও একটি জামতারা। সাইবার অপরাধের আরও একটি আঁতুড়ঘর। Aadhaar Enabled Payment System-কে কাজে লাগিয়ে কি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা উধাও করে দেওয়া যায়, তার প্রশিক্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছিল ইসলামপুরের অঞ্চল গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি এলাকা। হাতের আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে নিমেষে তুলে ফেলা হচ্ছিল টাকা। এই প্রতারণা সামনে আসার পর কমবেশি কলকাতা পুলিশে ৬০ টি-র বেশি অভিযোগ আসে। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে দু’জন ও পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে এই নয়া প্রতারণার যেন আঁতুড়ঘরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর চোপড়াতে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গতিবিধি সামনে এসেছে। এমনকী, ওই এলাকা লাগোয়া বিহারের আড়াড়িয়া থেকে অন্যতম মাস্টার মাইন্ড ছোটু কুমারকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ।
ছোটু এখন হরিয়ানা সংশোধনাগারে বন্দি। যাকে কলকাতা এনে জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে লালবাজার। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, এই অপরাধ সংগঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি হয়েছে ইসলামপুর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের অন্তর্গত অঞ্চল নামে এক এলাকায়। পুলিশের দাবি, সেখানেই সিলিকন বা রবারের ফিঙ্গার প্রিন্ট তৈরির ফ্যাক্টরির হদিশ পেয়েছে জেলা পুলিশ। তারা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা দুটি ফ্যাক্টরি ইতিমধ্যে সিল করেছে। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। যারা মূলত ওই সমস্ত ফ্যাক্টরি থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আধার ডিটেলস সরবরাহ করতেন।