নির্বাচন কমিশন আপের এই কাজের জন্য দলের আহ্বায়ক কেজরিওয়ালের ব্যাখ্যা তলব করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে। গত সপ্তাহে দুটি পোস্টে, আপ অভিযোগ করেছিল যে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার জনসাধারণের জন্য কাজ করেনি, কিন্তু আদানির জন্য কাজ করেছে। আপের প্রথম আপলোড এবং এক্স বার্তায় আরও ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে অ্যানিমেশন, ক্যারিকেচার এবং অঙ্কনের মত বিষয়ের দ্বারা প্রধানমন্ত্রীকে সুপার ইমপোজ করে ব্যবসায়ী আদানি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। নোটিসে নির্বাচন কমিশন এমনটাই জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নোটিসে জানিয়েছে যে আপ একটি জাতীয় দল। তার জাতীয় আহ্বায়ক এবং বর্তমান নির্বাচনে প্রার্থীদের এক্স বার্তায় প্রকাশিত দাবি করা, ‘তথ্যগুলি যাচাই করা উচিত। অবমাননাকর, অপমানজনক এবং অ্যানিমেশনকে ন্যায্য বলার জন্য আপের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে। না-হলে এই ব্যঙ্গচিত্র বা কেলেঙ্কারির অভিযোগ অন্য জাতীয় পার্টির তারকা প্রচারকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ছাড়া কিছুই নয়। একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা রটানোর চেষ্টা। তা-ও আবার এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই চেষ্টা, যিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন- বাংলার ছায়া তামিলনাড়ুতে, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখে ১০ মন্ত্রী, চরম বিপাকে ডিএমকে
আরও পড়ুন- বাংলার ছায়া তামিলনাড়ুতে, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখে ১০ মন্ত্রী, চরম বিপাকে ডিএমকে
কমিশন তার নোটিশে বলেছে যে দুটি পোস্ট প্রাথমিকভাবে কমিশনের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। যা হল- ‘ব্যক্তিগত জীবনের সমালোচনা। যা কোনওভাবেই জনসাধারণের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয়। আর, দ্বিতীয় হল, অযাচাই করা অভিযোগ বা বিকৃতির ভিত্তিতে অন্যান্য দল বা তাদের কর্মীদের সমালোচনা।’ নির্বাচন কমিশন এই প্রসঙ্গে ১৯৬৯ সালে গুরুজি শ্রীহরি ভালিরাম জীবতোদে বনাম বিঠলরাও মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশেরও উল্লেখ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপবাদ প্রচারের ফলে জনগণের মনে প্রভাব পড়তে পারে।’ পাশাপাশি, কমিশন এই ঘটনায় টিটিভি দিনাকরণ বনাম সিটি পাবলিক প্রসিকিউটর মামলায় ২০২১ সালে দেওয়া মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশেরও উল্লেখ করেছে। সেই নির্দেশে আদালত বলেছে, ‘রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেই একজন ব্যক্তি নেতা হন। একটি রাজনৈতিক দলের অন্যদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।’