শুরু হয়েছে বাঙালির বিয়ের মরশুম। এই অঘ্রাণ মাসে যত বিয়ে হয় আর অন্য কোনও সময় এত বিয়ে হয় না। এই সময় আবহাওয়া খুব সুন্দর থাকে, গরম একেবারেই থাকে না। আবার কনকনে শীত থাকে এমনটাও নয়। যে কারণে বিয়ের কনেদের সাজতে কোনও রকম অসুবিধে হয় না। বছরের শেষদিকে এই সময় ছুটিও থাকে। ফলে বর-কনেদের ছুটি ম্যানেজ করতে কোনও রকম সমস্যা হয় না। প্রতি বছর এই সময়টা সকলেরই প্রচুর বিয়ের নিমন্ত্রণও থাকে। মেয়েদের বিয়ে নিয়ে অন্যরকম একটা আবেগ থাকে। বিয়ের দিনের সাজ, কেমন রঙের শাড়ি হবে, কোন দিন কেমন ডেকোরেশন হবে, কী কী গয়না কেনা হবে এসব নিয়ে পরিকল্পনা চলতেই থাকে। কারোর পছন্দ লাল বেনারসি তো কারোর গোলাপি।
যা বিয়ের দিন পরলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। লাল-হলুদ, খয়েরি, সবুজ প্রচুর রকম রঙে পাওয়া যায় এই শাড়ি। দাম শুরু ১০ হাজার টাকা থেকে। এর কমে যে কাঞ্জিভরম পাওয়া যায় সেগুলি সব সময় আসন হয় না আর বিয়েতে পরার মতও থাকে না। নামী সিল্ক শাড়ির দোকান থেকেই কাঞ্জিভরম কিনুন। অনলাইন থেকে শাড়ি কিনবেন না। হাতে নিয়ে দেখে কিনতে পারলে সবচাইতে ভাল। বিয়ের সাজে এই কাঞ্জিভরম শাড়ি দেখতেও খুব ভাল লাগে। বিয়েতে একটু অন্যরকম সাজতে চাইলপে অবশ্যই কাঞ্জিভরম কিনুন। এছাড়াও বোন বা আত্মীয়র বিয়েতেও পরতে পারেন এই শাড়ি।
বিয়ের দিন সাবেকি সাজে দেখতেই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। তবে বিয়ে এখন একটা উৎসবের মত। অন্তত এক বছর আগে থেকে শুরু হয়ে যায় বিয়ের প্ল্যানিং। সেই মত চলতে থাকে কেনাকাটা। এছাড়াও লজ বুক করা, ফটোগ্রাফার, মেকআপ আর্টিস্ট সব নিয়ে বিয়ে মানেই তিন-চারদিনের জমজমাট প্যাকেজ। বিয়ের সাজ নিয়ে এখনকার মেয়েরা অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট করেন। যে কারণে বিয়ের দিন সকলেই যে বেনারসি পরেন এমন নয়। কেউ লেহঙ্গা পরেন, কেউ জামদানি আবার কেউ কাঞ্জিভরম পরছেন। দক্ষিণ ভারতীয় বিয়েতে কাঞ্জিভরম বা কাঞ্চিপুরম শাড়ির চলই বেশি। তবে গত বছর ধরেই ট্রেন্ডিং এ রয়েছে এই কাঞ্জিভরম শাড়ি। রিসেপশনের জন্য অনেক মেয়েই এই শাড়ি কেনেন তবে বিয়ের দিনও অনেকে পরছেন কাঞ্জিভরম। এই শাড়িতেও বেশ সুন্দর রং পাওয়া যায়।