কলকাতা: ৬২ বছরের বৃদ্ধাকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হয় পরিবারের লোককে। পরিবারের অভিযোগ, এমআর বাঙুর হাসপাতাল, এসএসকেএম, এনআরএস, হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যালে ঘুরতে হয় তাঁকে। কোনওরকম চিকিৎসা মেলেনি বলে অভিযোগ। এই খবর পৌঁছয় স্বাস্থ্যভবনে। স্বাস্থ্যভবনের হস্তক্ষেপেই অবশেষে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় ভবানীপুরের বাসিন্দা শবরী চক্রবর্তীকে।
শবরী চক্রবর্তীর মেয়ে রূপসা চক্রবর্তীর অভিযোগ, মাকে নিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে ঘুরে বেড়ান তিনি। কখনও সরকারি, কখনও বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরলেও মাকে ভর্তি করাতে পারেননি বলে জানান রূপসা। সরকারি হাসপাতাল থেকে শুনতে হয়, বেড নেই। বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দেয়, বেড থাকলেও স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা মিলবে না।
এ ঘটনা এই প্রথমবার নয়। কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার ক্ষেত্রেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল। এখানেই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রদের মতো ‘প্রভাবশালী’রা এসএসকেএমে এলে অনায়াসে বেড পেয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। অথচ সাধারণ রোগীকে শুনতে হচ্ছে ‘বেড নেই’। পরে সংবাদমাধ্যমে হইহই হলে তারপর রোগী হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার তরুণীর পর ভবানীপুরের শবরীদেবীর ক্ষেত্রেও তেমনই হল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সিসিইউ বেড সুনিশ্চিত করা গিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনের রূপরেখা বলে, রোগীর বেড পাওয়ার বিষয়টি হাসপাতালকেই সুনিশ্চিত করতে হবে। রোগীর পরিবার দোরে দোরে ঘুরে কেনই বা মাথা ঠুকবেন? রোগের চিকিৎসা পাওয়া তো একজন রোগীর অধিকারের মধ্যে পড়ে। তারপরও বারবার কেন এই ছবি দেখতে হয়।